নয়া দিল্লীঃ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার (Modi Sarkar) মধ্যবিত্তদের জন্য একটি বড়সড় উপহার দিতে চলেছে। সরকার এখন মধ্যবিত্তদের (Middle Class) জন্য নতুন করে স্বাস্থ পরিষেবা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই পরিষেবা তাঁদের জন্য হবে, যারা এখনো পর্যন্ত কোন পাবলিক হেলথ কেয়ারের আওতায় পড়েনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুযায়ী, নীতি আয়োগ (Niti Ayog) এই পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করে নিয়েছে।
এই নতুন স্বাস্থ পরিষেবায় তাঁদের যুক্ত করা হবেনা, যারা আগে থেকেই আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করছেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি, আয়ুষ্মান ভারত যোজনার সুবিধা সেই সমস্ত দরিদ্র মানুষেরা নিচ্ছে, যারা নিজে থেকে ভারত কোনরকম স্বাস্থ বীমা করাতে পারবেননা। নীতি আয়োগের পরামর্শদাতা (স্বাস্থ) অলোক কুমার বলেন, ‘ দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ জনসংখ্যা এখনো পর্যন্ত কোন সার্বজনীন স্বাস্থ পরিষেবার সাথে যুক্ত নয়। আর সেই সব মানুষদের থেকে হাতে গোনা কিছু টাকা নিয়ে তাঁদের স্বাস্থ পরিষেবার সাথে যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই প্রকল্প মিডিল ক্লাসদের স্বাস্থের দেখভাল করবে।”
File Pic
অলোক কুমার বলেন, মিডিল ক্লাস মানুষদের যদি দেশে উন্নত স্বাস্থ পরিষেবার নির্মাণের জন্য ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা দিতে হয়, তাহলে তাঁরা কোন সমস্যায় পড়বেনা। এই যোজনা কার্যকর হবে বলেন আশা করেন উনি। আপনাদের জানিয়ে রাখি, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (আয়ুষ্মান ভারত) অনুযায়ী, মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষ সুবিধা পায়। এই যোজনা দরিদ্র মানুষদের জন্য আর এই যোজনা অনুযায়ী ৫ লক্ষ টাকার বীমা পাওয়া যায়।
যদিও সরকার মধ্যবিত্তদের জন্য এরকম কোন প্রকল্প চালু করেনি। তবে এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে এই প্রথম দেশের মধ্যবিত্তরা হেলথ কেয়ারের সুবিধা নিতে পারবে।
রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) আজ এনআরসি (NRC) নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দেন। সাংসদদের প্রশ্নের জবা দিয়ে অমিত শাহ বলেন, NRC এর জন্য কোন ধর্ম বিশেষ মানুষদের ভয় পেতে হবেনা। বড় 24 ঘন্টার খবর ঘোষণা করে অমিত শাহ বলেন, NRC এর মাধ্যমে নাগরিকদের পরিচয় সুনিশ্চিত করা হবে, আর NRC গোটা দেশে লাগু হবে।
উনি ধর্মের ভিত্তিতে NRC তে বৈষম্যের কথা অস্বীকার করেন। উনি বলেন, এটি একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের NRC লিস্টে যুক্ত করা হবে। NRC তে এমন কোন নিয়ম নেই যে, এর মাধ্যমে কোন ধর্ম বিশেষ মানুষদের এই সূচিতে যুক্ত করা হবেনা।
অমিত শাহ বলেন, সমস্ত নাগরিক তাঁদের ধর্ম যাই হোক না কেন, NRC লিস্টে যুক্ত হতে পারবেন। NRC একটি আলাদা প্রক্রিয়া আর নাগরিক সংশোধন বিল আলাদা প্রক্রিয়া। এই দুটি জিনিষকে একসাথে না দেখা মঙ্গল।
সৈয়দ নাসির হুসেইনের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ জৈন, ইসাই, পারসি শর্ণার্থীদের নাগরিকতা দেওয়া হবে। এর জন্য সিটিজেন অ্যামেডমেন্ট বিল আলাদা একটি প্রক্রিয়া, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই ধর্মাবল্মবি মানুষদের নাগরিকতা দেওয়া হবে। এরা পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান থেকে শুধুমাত্র ধর্মের কারণে অত্যাচারিত হয়ে এদেশে এসে মাথা গুঁজেছে।
নয়া দিল্লীঃ কেন্দ্র সরকার বুধবার জানায় যে, জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর রাজ্যে শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে ৫১৬১ জন আলগাঁওবাদী আর পাথরবাজদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গৃহ রাজ্যমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘চার আগস্ট ২০১৯ থেকে কাশ্মীরে শান্তি ভঙ্গ করা দুষ্কৃতীদের দেশের সুরক্ষার জন্য ক্ষতিকর আজকের খবর গতিবিধি গুলোকে থামানোর জন্য এবং রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা কায়েম রাখার জন্য ৫১৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাথরবাজ, জঙ্গি আর জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ ভাবে সহয়াতা করা ব্যাক্তি, আলগাওবাদী, দুষ্কৃতী এবং রাজনৈতিক ব্যাক্তিরাও ছিল।” গৃহ রাজ্য মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেন, জম্মু কাশ্মীরে আপাতত ৬০৯ জন মানুষ হেফাজতে আছে। আর তাঁদের মধ্যে প্রায় ২১৮ জন পাথরবাজ শামিল আছে।
আরেকটি প্রশ্নের জবাবে গৃহ রাজ্যমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি সংসদে বলেন, জম্মু কাশ্মীরে সমস্ত স্কুল এবং কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। আর এই স্কুল এবং কলেজে ৯৮ শতাংশ পড়ুয়ারা উপস্থিত থাকছে। গৃহ রাজ্য মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি জানান, জম্মু কাশ্মীরে সমস্ত হাসপাতাল এবং স্বাস্থ সেবা কেন্দ্র আগের মতই বিনা কোন বাধায় চলছে।
গৃহ রাজ্যমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেন, ‘জম্মু কাশ্মীর সরকার তথ্য দিয়েছে যে, প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর থেকে রাজে সমস্য স্কুল এবং কলেজ খুলে গেছে।” গৃহ রাজ্যমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেন, বর্তমানে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা চলছে, এছাড়াও স্কুল এবং কলেজে ৯৮ শতাংশ পড়ুয়ারা উপস্থিত থাকছে। উনি এও স্পষ্ট করে বলেন যে, উপত্যকায় পড়ুয়াদের গতিবিধিতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। মন্ত্রী বলেন, এছাড়াও রাজ্যের সমস্ত হাসপাতাল এবং স্বাস্থ কেন্দ্র গুলো খুলে গেছে। আর সমস্ত স্বাস্থ পরিষেবা বিনা কোন বাধায় প্রদান করা হচ্ছে।
জম্মু কাশ্মীরে (Kashmir) মোদী সরকারের (Modi Sarkar) ৩৭০ ধারা (Article 370) খতম করার সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা হল আমেরিকার সংসদে। বুধবার হাউস অফ রিপ্রেসেন্টিভসে আমেরিকার সাংসদ পিট ওলসেন (pete olson) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। আমেরিকার টেক্সাস-২২ থেকে সাংসদ আজকের খবর পিট ওলসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে সেখানকার মানুষদের ভারতের মহান সংস্কৃতির সাথে যুক্ত করেছেন।
আমেরিকার সাংসদ পিট ওলসেন বলেন, ৩৭০ ধারা একটি অস্থায়ী আইন ছিল, এর কারণে জম্মু কাশ্মীরের মানুষদের একটি আলাদা আইন পালন করার জন্য বাধ্য করা হয়েছিল। এখন সেখানকার মানুষদের কাছে অন্যান্য ভারতীয়দের মতই সমান অধিকার আছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, মোদী সরকার পাঁচই আগস্ট জম্মু আর কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেয়। এরপর জম্মু কাশ্মীর কেন্দ্র শাসিত রাজ্যের তকমা পায়। এবং জম্মু কাশ্মীর থেকে লাদাখকে আলাদা করে নতুন কেন্দ্র শাসিত রাজ্য বানানো হয়।
একদিকে যেমন মোদী সরকারের এই কাজে গোটা দেশের মানুষ খুশি। আরেকদিকে মোদী সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান রোজই নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। কখনো সীমান্তে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়ে, তো কখনো সীমান্ত দিয়ে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে। যদিও ভারতের তঠস্থ সেনার কারণে পাকিস্তানের বেশিরভাগ ষড়যন্ত্রই ব্যার্থ হচ্ছে।
আরেকদিকে পাকিস্তানের গুলির জবাবে ভারতের সেনাও পাল্টা হানা চালাচ্ছে। এরফলে পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন জওয়ানও মারা গেছে। এছাড়াও ভারতীয় সেনার গুলিতে খতম হয়েছে বহু পাক সমর্থিত জঙ্গিরা। এর আগে ভারত পাক সীমান্তে তংধার সেক্টরে ভারতীয় সেনা পালটা হানা চালিয়ে পাকিস্তানে থাকা বেশ কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। ভারতের সেই পালটা হানায়া পাক আর্মি আর জঙ্গি মিলিয়ে বেরসরকারি মতে প্রায় ২০ জন খতম হয়েছিল।
বুধবার হওয়া ক্যাবিনেট মিটিংয়ে মোদী সরকার আম জনতাকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য বড়সড় ঘোষণা করল। সরকার পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করার ১.২ লক্ষ মেট্রিক টন পিঁয়াজ আমদানি করার মঞ্জুরি দিয়ে দিয়েছে। এর জন্য প্রাইস স্টেবেলাইজেশন ফাণ্ডের ভারত খবর ব্যাবহার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সরকার বুধবার ঘরোয়া বাজারে পিঁয়াজের উপলব্ধতা বাড়ানোর জন্য ১.২ লক্ষ টন পিঁয়াজ আমদানি করার জন্য খাদ্য মন্ত্রালয়কে মঞ্জুরি দিয়ে দিয়েছে।
বৈঠকের পর অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এই কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানান। খাদ্য এবং উপভোক্তা মামলার মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান ১৬ই নভেম্বর বলেছিলেন যে, সরকারি কোম্পানি এমএমটিস্যার মাধ্যমে সরকার এক লক্ষ টন পিঁয়াজের আমদানি করবে। এর ফলে পিঁয়াজের দাম অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা জাহির করেছিলেন তিনি।
সরকার পিঁয়াজের উপলব্ধতা আরও ভালো করার জন্য আমদানিকে মঞ্জুরি দিয়ে দিয়েছে এবং আমদানির জন্য সমস্ত প্রণালীকে আরও সহজ বানানো হয়েছে। সরকার এই পদক্ষেপ এমন সময় নিয়েছে, যখন ঘরোয়া বাজারে পিঁয়াজ কম থাকার কারণে, দাম আকাশ ছুঁয়েছে। দিল্লীতে পিঁয়াজ ৬০ টাকা প্রতি কেজি হয়ে গেছে। ২০১৯-২০ এর খরিফ মরশুমে পিঁয়াজের উৎপাদন ২৬ শতাংশ কমে গিয়েছে। আর এই কারণে বাজারে পিঁয়াজের দামে আগুন। সরকার আমদানি সুনিশ্চিত করতে এবং ভাণ্ডারের সীমা নির্ধারিত করতে অনেক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
আপানদের জানিয়ে রাখি, পিঁয়াজের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরেও নভেম্বর মাসের মধ্য থেকে বাজারে পিঁয়াজের দাম আবারও বেড়ে যায়। আপাতত এখনো অনেক জায়গায় পিঁয়াজ খুচরো ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দেশের রাজধানী দিল্লীতে এক সপ্তাহ আগে ১০০ টাকা কেজি দরে এক কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল।
মুম্বাইঃ মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে শিবসেনা, কংগ্রেস আর এনসিপির মধ্যে একের পর এক বৈঠক আর চর্চা হয়েই চলেছে। তিনটি দল কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম নিয়ে চর্চা করছে। আর এই চর্চায় কৃষকদের জন্য বড় বাংলা খবর ঘোষণা হতে আপ্রে। মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে বুলেট ট্রেনের জন্য দেওয়া টাকা এবার রাজ্যের কৃষকদের ঋণ মাফির জন্য করা হতে পারে।
সুত্র অনুযায়ী, কমন মিনিমাম প্রোগ্রামে তিনটি দলই এই ইস্যু নিয়ে চর্চা করছে। আপানদের জানিয়ে রাখি, বুলেট ট্রেন প্রোগ্রামে রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও পয়সা দেওয়া হয়, আর এই অংশীদারিতে এবার মহারাষ্ট্র সরকারের দেওয়া টাকা বন্ধ হতে পারে। বুলেট ট্রেনের জন্য ২৫ শতাংশ ফাণ্ড দিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার।
জানিয়ে দিই, বুলেট ট্রেন প্রোজেক্ট হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ড্রিম প্রোজেক্টের মধ্যে একটি। দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন আহমেদাবাদ থেকে মুম্বাইয়ের মধ্যে চালানো হবে। এই ট্রেন জাপানের সাহায্য নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে এই প্রোজেক্টের শিলন্যাস করেছিলেন।
লখনউঃ উত্তর প্রদেশ রাজ্য আইন কমিশন রাজ্যে ধরমান্তকরণ বন্ধ করার সুপারিশ করেছে। রাজ্য আইন কমিশন উত্তর প্রদেশে ধর্মান্তকরণ নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। স্টেট ল কমিশন তৎকালীন ধর্মান্তকরণ বন্ধ করার জন্য আইন আনার খবর জন্য সুপারিশ করেছে। উত্তর প্রদেশ আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারক আদিত্যনাথ মিত্তল এবং সচিব স্বপ্না ত্রিপাঠি এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগ আদিত্যনাথকে (Yogi Adityanath) রিপোর্ট পাঠিয়েছে। সুত্র অনুযায়ী, রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, উত্তর প্রদেশে প্রচুর পরিমাণে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে যে, রিপোর্ট অনুযায়ী, ধর্মান্তকরণের জন্য লাভ জিহাদকেও কারণ মানা হচ্ছে।
শোনা যাচ্ছে যে, পরিচয় গোপন করে আর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করার কথা বলা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশে হিন্দু আর বিশেষ করে এসসি/এসটি দের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করা হয়। আপনাদের জানিয়ে রাখি, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় ১৯৫৪ সালে ধর্ম পরিবর্তনের ইস্যু ওঠানো হয়েছিল। আরেকদিকে, কিছুদিন আগেই জৈনপুরে একসাথে ৩০০ জনের ধর্ম পরিবর্তন করার মামলা সামনে এসেছিল।
Yogi aditynath-যোগী আদিত্যানাথ
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, উত্তর প্রদেশের আলাদা আলাদা জেলায় এখনো ধর্ম পরিবর্তন করানো হয়। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে ধর্ম পরিবর্তন বিরোধী আইনের দাবি করেছিলেন। দেশের ১০ রাজ্যে ধর্ম পরিবর্তন আইন আগে থেকেই লাগু আছে। এবার যোগীর রাজ্যে উত্তর প্রদেশেও এই আইন লাগু করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবারও রাজ্যে পুলিশ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কল টিমেন্ট বোর্ড। এর আগে কনস্টেবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল তবে এবার বিপর্যয় মোকাবিলা ও সিভিল ডিফেন্স দফতরে স্টাফ অফিসার প্রশিক্ষক পদে নিয়োগ করা হবে বলে জানাল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ট্রিটমেন্ট বোর্ড। জানুন বাংলা নিয়োগ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য- 1. মোট শূন্যপদ- 125, সাধারণ যাত্রীদের জন্য- 67, তফসিলি জাতি- 28, তফসিলি উপজাতি-8, বাকি আসন ওবিসি প্রার্থীদের জন্য। 2. এই পদে আবেদনের জন্য যোগ্যতা- স্টাফ অফিসার কাম প্রশিক্ষক পদে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনও কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েট হতে হবে একই সঙ্গে বাংলা ভাষায় লেখা পড়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। 3. বয়স সীমা- এই পদে আবেদনের জন্য আবেদনকারীর বয়স হতে হবে 20-39 বছরের মধ্যে। 4. অন্যান্য যোগ্যতা- শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা নিরীক্ষার পর উচ্চতা এবং ওজনের ওপর কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যদিও মহিলা এবং পুরুষ নির্বিশেষে উচ্চতার ছাড় রয়েছে। 5. প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি- শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষার আগে লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ নেওয়া হবে তার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই হবে। 6. আবেদন পদ্ধতি- এই পদে আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট wbpolice.gov.in এ গিয়ে আবেদন করতে হবে একই সঙ্গে ওই ওয়েবসাইট থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
আবেদনের জন্য ফি- এই পদে প্রার্থীদের আবেদনের জন্য সাধারণ জাতির ক্ষেত্রে 270, তফসিলি জাতি ও উপজাতি চাকরি প্রার্থীদের জন্য 20 টাকা করে দিতে হবে। লিখিত এবং ইন্টারভিউ ও শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় যাঁরা উত্তীর্ণ হবেন তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।
আদালত অযোধ্যা মামলায় রায় দিয়েছে, রায় অনুযায়ী কেন্দ্রকে একটা ট্রাস্ট তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই ট্রাস্ট এর নেতৃত্বে তৈরি হবে রাম মন্দির। রাম জন্মভূমি নিয়াস বলেছেন যে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের নেতৃত্ব থাকা pratidin ট্রাস্টের দায়িত্ব উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে রাখা উচিত। ট্রাস্ট বলেছে যে আদিত্যনাথের উচিত মুখ্যমন্ত্রী নয়, গোরক্ষ পীঠের মহন্ত হিসাবে ট্রাস্টের সভাপতিত্ব করা উচিত। নিয়াস চেয়ারম্যান মহন্ত নৃত্য গোপাল দাস বলেছেন, “রাম জন্মভূমি নিয়াস চান যোগীরা আদিত্যনাথ ট্রাস্টের প্রধান হন।
গোরক্ষপুরের প্রতিমূর্তিযুক্ত গোরক্ষনাথ মন্দিরটি গোরক্ষপীঠের অন্তর্গত এবং রাম মন্দির আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। মহন্ত দিগ্বিজয় নাথ, মহন্ত অবৈদ্যনাথ এবং এখন যোগী আদিত্যনাথ মন্দির আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছিলেন। তিনি বলেন যে প্রস্তাবিত ট্রাস্ট এ নিয়াস মূল ভূমিকা নেবে। তিনি অবশ্য বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করেননি। তিনি বলেন, “ট্রাস্টের অন্য সদস্যদের মধ্যে চম্পাত রায় (বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সহ-সভাপতি) এবং ওম প্রকাশ সিংহল (ভিএইচপি কোষাধ্যক্ষ) অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।”
এখন যোগী আদিত্যনাথকে ট্রাস্ট এর মুখ্য ভূমিকায় রাখার জন্য তীব্র দাবি উঠছে। জানিয়ে দি, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজনীতিতে আসার পেছনে একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো রাম মন্দির। যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার আগেই বলেছিলেন যে তার জীবনে একটা বড়ো উদেশ্য হলো রাম মন্দির নির্মাণ। যোগী আদিত্যনাথের গুরুদেবও রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সংঘর্ষ করেছিলেন। আর যোগী আদিত্যনাথও সেই পথেই নেমেছিলেন। যোগী আদিত্যনাথ একজন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সাথে সাথে একজন যোগী সন্ন্যাসী। উনি উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের এক সভায় বলেছিলেন যদি আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসে তবে রাম মন্দির হওয়া নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকবে না।
অযোধ্যাঃ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফ থেকে রাম মন্দির (Ram Mandir) নিয়ে সিদ্ধান্ত শোনানোর পর, একদিকে যেমন অযোধ্যাতে মন্দির বানানোর কাজ শুরু হওয়ার দিকে, তেমনই অন্যদিকে মন্দিরের জন্য প্রয়োজনীয় sangbad সামগ্রীও প্রস্তুত করার কাজ চলছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, অযোধ্যায় নির্মাণ হওয়া রাম মন্দিররের জন্য ‘এটাহ” (Etah) এর পিতল নগরীর নামে পরিচিত জলেসরে ২১০০ কেজির ঘণ্টা বানানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, রাম মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত আসার আগেই এই ঘণ্টা বানানোর অর্ডার দেওয়া হয়েছিল।
সবথেকে বড় কথা হল, এই ২১০০ কেজির ঘণ্টা পিতলের আর এর উচ্চতা ৬ ফুট এবং চওড়ায় ৫ ফুট। এই ঘণ্টার নির্মাণ করা কারখানার মালিক, জলেসর এর নগরপালিকার চেয়ারম্যান বিকাস মিত্তল জানান, এই বিশালাকার ঘণ্টা বানানোর জন্য মুসলিম কারিগর ইকবাল সহযোগিতা করছে। ঘণ্টার ডিজাইনিং এবং মসৃণ করার কাজ মুসলিম সমাজের ভাইয়েরা করছে। এই ঘণ্টার দাম প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।
রাম মন্দির বানানোর রাস্তা পরিস্কার হওয়ার পরেই জলেসরে ঘণ্টা বানানোর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি ঘণ্টার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে, কারখানার মালিক শ্রমিক সংখ্যাও বাড়িয়ে দিয়েছে। রাম মন্দিরের জন্য বানানো এই বিশালাকার ঘণ্টার জলেসর এবং এটাহ এর নাম খোদাই করা থাকবে। অযোধ্যায় রাম মন্দির হওয়ার পর এই ঘণ্টা দেখলেই মানুষে জানতে পারবে যে, এই ঘণ্টা কোথায় বানানো হয়েছিল।
সবথেকে বড় কথা হল, রাম মন্দিরের শোভা বাড়ানোর জন্য নির্মাণ করা এই বিশালাকার ঘণ্টায় মুসলিম সমাজের মানুষেরাও সহযোগিতা করছে। এই ঘণ্টা সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য বজায় রাখার একটি প্রতীক চিহ্ন হিসেবে বিখ্যাত হবে। কারিগর ইকবাল জানান, তিনি ৪০ বছর ধরে এই কাজ করছেন। আর রাম মন্দিরের জন্য ঘণ্টা উনিই বানাচ্ছেন।
ওয়েব ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্ট থেকে উপ নির্বাচনে লড়ার ছাড়পত্র পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ১৭ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন। কর্ণাটকের বিজেপির হেড কোয়ার্টারে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই বিক্ষুব্ধ sangbad pratidin বিধায়কেরা দলে যোগ দেন। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের হাতে পতাকা তুলে দেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা এবং কর্ণাটক বিজেপির সভাপতি নলিন কুমার। আগামী পাঁচ ডিসেম্বর ১৫ টি আসনে উপ নির্বাচন হতে চলেছে কর্ণাটকে। আর সেই উপ নির্বাচনে বিজেপি ১৩ জন প্রাক্তন বিধায়ককে টিকিট দিয়েছে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, বুধবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা শীর্ষ আদালত দ্বারা বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের উপ নির্বাচনে লড়ার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা আশ্বাস দেন যে, ভারতীয় জনতা পার্টি পাঁচ ডিসেম্বরে হওয়া উপ নির্বাচনে সমস্ত ১৫ টি আসনেই জয়লাভ করবে। উনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট এর সিদ্ধান্ত প্রাক্তন বিধানসভার স্পীকার আর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিধারামাইয়ার বিরুদ্ধে এসেছে।
Bengaluru: 15 rebel Karnataka MLAs of Congress and JD(S) joined BJP today in the presence of Chief Minister BS Yediyurappa. 17 MLAs were disqualified by the state assembly speaker KR Ramesh Kumar and their disqualification was upheld by the Supreme Court, yesterday. pic.twitter.com/xznVMPKWaQ
সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের পর অযোগ্য ঘোষণা হওয়া সমস্ত বিধায়ক খুশি জাহির করেন। জেডিএস এর বিধায়ক বিশ্বনাথ বলে, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য খুব জরুরি ছিল। আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। জেডিএস এর বিধায়ক বিশ্বনাথ ছাড়াও বাকি বিধায়কেরাও এই সিদ্ধান্তে নিজেদের খুশি জাহির করেন। এবং তাঁরা সবাই আগামী নির্বাচনে জয়ের দাবিও করেছেন।
বর্তমানে কর্ণাটক বিধানসভায় ২০৭ জন বিধায়ক আছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য চাই ১০৪ জন বিধায়ক। বিজেপির কাছে আছে ১০৬ জন বিধায়ক। আর জেডিএস এর কাছে ৩৪ জন বিধায়ক। এবং কংগ্রেসের কাছে ৬৬ জন বিধায়ক। কংগ্রেস এবং জেডিএস জোট করে কর্ণাটকে সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু ১৪ মাস সরকার চলার পর জেডিএস এর নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী জোট ভেঙে দেন।
দেশ বিরোধী শ্লোগানবাজির জন্য JNU প্রায় সময় খবরের শিরোনামে থাকে। আর এখন আবারও JNU ছাত্রছাত্রীদের উপদ্রব সামনে এসেছে। প্রথমে JNU তে অযোধ্যা মামলার বিরোধ করে ছাত্র ছাত্রীরা উপদ্রব করেছিল। এরপর মানুষের bartaman patrika সমালোচনার মুখে পড়তেই সেই বিরোধ ঘুরে যায় হোস্টেল ফি বৃদ্ধি নিয়ে। JUN তে মাত্র ১০ টাকা ২০ টাকা ফি দিয়ে ফ্রীতে খাওয়া দাওয়া, ঘোরা ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা ভোগ করে। সেই ফী সামান্য বৃদ্ধি করার কথা উঠলে JUN ছাত্র ছাত্রীরা উৎপাত শুরু করে দেয়।
আর এখন JNU থেকে যে খবর আসছে তা খুবই লজ্জাজনক। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, JNU ক্যাম্পাসে থাকা স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি ভেঙে দিয়েছে উৎপাতকারীরা। নিউজ এজেন্সি ANI এর অনুযায়ী, উৎপাতকারীরা স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির উপর ইট, পাথর ছুঁড়তে থাকে। শেষমেষ মূর্তিকে ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষ মূর্তিকে ঢেকে রেখেছে। ঘটনাটিকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।
মূর্তি ভাঙার সাথে সাথে মূর্তির উপর অভদ্র শব্দ লিখে দেওয়া হয়। স্বামী বিবেকানন্দের এই মূর্তিটি জেএনইউ ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ব্লকের ডানদিকে এবং এর ঠিক সামনে রয়েছে জওহরলাল নেহেরুর একটি মূর্তি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্লকে কয়েকজন শিক্ষার্থী উপাচার্যের সাথে দেখা করতে তখন সেই ঘটনা ঘটে। ফি বৃদ্ধি নিয়ে কিছু ছাত্রছাত্রীরা স্বামী বিবেকানন্দ এর মূর্তির সামনে উপস্থিত হয়েছিল। এরপর সেই উপদ্রবকারীরাই স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রশাসনিক ব্লকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সাথে দেখা করতে আসলে তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সেখানে অন্য কোনও আধিকারিককে না পেয়ে , তারা উপাচার্যের অফিসের কাছে দেয়ালে অভদ্র ভাষায় লেখা লেখি করে।
ওয়েব ডেস্কঃ রাশিয়ার (Russia) সেনার প্রতিরক্ষা কবচ S-400 মিসাইল সিস্টেম এবার খুব শীঘ্রই ভারতের হাতে আসতে চলেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) বলেন, রাশিয়া নির্ধারিত সময়ের bartaman আগেই ভারতের হাতে S-400 ভূমি থেকে হাওয়ায় ফায়ার করা মিসাইল সিস্টেম ডেলিভার করে দেবে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি পুতিন ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়া থেকে এই কথা বলেন।
S-400
ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় দুই দিনের ব্রিকস সন্মেলন সম্পন্ন হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি পুতিন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বলেন, S-400 মিসাইল এর ডেলিভারি পরিকল্পনা মাফিক চলছে, আর আমরা খুব শীঘ্রই ভারতের হাতে এই মিসাইল তুলে দেব।
S-400
প্রসঙ্গত, ভারত রাশিয়ার সাথে ৫.২ বিলিয়ন ডলারের S-400 মিসাইল কেনার জন্য গত বছর চুক্তি করেছিল। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ইউক্রেন এবং সিরিয়ায় সৈন্য গতিবিধি এবং আমেরিকার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার থেকে হাতিয়ার কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু ভারত আমেরিকার এই নিষেধাজ্ঞাকে অবজ্ঞা করে নিজেদের সৈন্য ক্ষমতা বাড়াতে রাশিয়ার সাথে চুক্তি করে।
জানিয়ে দিই, এই বছরের অক্টোবর মাসে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আমেরিকার তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞার পরেও রাশিয়ার থেকে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কেনার জন্য ভারতের অধিকারের রক্ষা করেন। ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, প্রতিরক্ষা উপকরণ কেনার জন্য আমরা স্বাধীন। এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ভারত রাশিয়ার থেকে S-400 মিসাইল কেনার জন্য স্বাধীন।
জয়সলমেরঃ পাকিস্তান দুনিয়া জুড়ে ঘুরে ঘুরে ভারতকে একের পর এক হুমকি দিয়ে চলেছে, কিন্তু তাঁরা ভালো করে জানে যে, ভারতীয় সেনার ক্ষমতার কাছে তাঁদের সেনা কিছুই না। আর সেই ক্রমেই ভারতীয় সেনা নিজের মারক ক্ষমতাকে মজবুত abp ananda live tv করার আরও একটি উদাহরণ পেশ করে ‘সুদর্শন শক্তি” অভ্যাস শুরু করে দিলো। প্রসঙ্গত, ভারতীয় সেনার এমন কিছু যুদ্ধ রণনীতি বাস্তবায়িত করার চেষ্টা জয়সলমের এর মরুভূমিতে করা হচ্ছে। জয়সলমের এর ভারতীয় সেনা বিশেষ ভাবে যুদ্ধ অভ্যাস করছে। এই যুদ্ধ অভ্যাসে বেশিরভাগই আধুনিক হাতিয়ার ব্যাবহার করা হচ্ছে।
পাকিস্তান বর্ডারের মরুভূমিতে চলা এই যুদ্ধ অভ্যাসের নাম ‘সুদর্শন শক্তি” দেওয়া হয়েছে। এটি এই যুদ্ধ অভ্যাসের দ্বিতীয় পার্ট। বৃহস্পতিবার বার থেকেই এই যুদ্ধ অভ্যাস শুরু করেছে সেনা। আগামী ৪ই ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই অভ্যাস। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, এই যুদ্ধ অভ্যাসের বায়ুসেনাও অংশ নিয়েছে।
শত্রুপক্ষকে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য ৪০ হাজারের বেশি সৈনিক এবং ৪৫০ টি ট্যাঙ্ক এই যুদ্ধ অভ্যাসে অংশ নিয়েছে। এই যুদ্ধ অভ্যাসে প্রথমবার ভারতে নির্মিত কে-৯ বজ্র ট্যাঙ্ক নিজের জোরদার ক্ষমতা প্রদর্শন করছে। এই ট্যাঙ্ককে কিছুদিন আগেই ভারতীয় সেনায় যুক্ত করা হয়েছে। এটি ভারতীয় সেনায় সবথেকে বেশি দূরত্বে আঘাত হানা মিসাইল বলে গণ্য হয়েছে। এই ট্যাঙ্ক নিজের ক্ষমতা জাহির করার জন্য কৃত্রিম শত্রু ঘাঁটি গুলোতে অভেদ্য নিশানা বানিয়ে গোটা মরুভূমিতে হাহাকার সৃষ্টি করে দিয়েছে।
শুক্রবার এই অভ্যাসকে রিভিউ করার জন্য ২১ কপ এর জি.সি.ও লেফটিনেন্ট যোগেন্দ্র ডিমরি উপস্থিত ছিলেন। এই যুদ্ধ অভ্যাসের দ্বিতীয় পার্টের অন্তিম ভাগ জয়সলমের এর পোখরাণ ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই যুদ্ধ অভ্যাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্থল সেনা প্রধান এবং অন্যান্য সেনা এবং বায়ুসেনা উচ্চ পদস্থ অফিসারেরা উপস্থিত থাকবেন।
ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) বলেন, অল ইন্ডিয়া মজলিস এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM) এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi) দ্বিতীয় জাকির abp ananda live নায়েক হতে চলেছেন। বাবুল সুপ্রিয় বলেন, আসাদউদ্দিন ওয়াইসি প্রয়োজনের থেকে বেশি বলেন, আমাদের দেশে আইন-শৃঙ্খলা আছে, সেটার উপর ওনার বিশ্বাস রাখা আর নজর দেওয়া দরকার।
Union Minister Babul Supriyo in West Bengal: Asaduddin Owaisi is becoming second Zakir Naik. If he speaks more than required, then we do have law and order in our country. pic.twitter.com/X7JgOkCVxb
উল্লেখ্য, ওয়াইসি অযোধ্যা বিতর্ক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর ট্যুইটারে লিখেছিলেন, ‘আমি আমার মসজিদ ফেরত চাই।” ওয়াইসির এই ট্যুইটের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় নিজের প্রতিক্রিয়া দেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি, জাকির নায়েক হলেন এক বিতর্কিত ইসলামিক ধর্ম প্রচারক। যিনি গ্রেফতারির ভয়ে এখন ভারত ছেড়ে মালয়শিয়ায় গিয়ে ঘাঁটি গেঁড়ে বসে আছে।
২০১৬ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় হওয়া একটি জঙ্গি হামলায় জাকির নায়েকের নাম আসার পর, ভারতে সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করা হয় জাকির নায়েক ও তাঁর সংগঠনকে। মুম্মবাইয়ের বাসিন্দা পিস টিভির সংস্থাপক জাকির নায়েক এখন ভারত ছেড়ে মালয়শিয়ায় বসবাস করছে। আর ভারত ওনাকে মালয়শিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত আসার পর, আসদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, আমি আমার মসজিদ ফেরত চাই। আমার মনে হয় এই সিদ্ধান্ত স্বাক্ষ প্রমাণ না, বিশ্বাসের উপর ভরসা করে নেওয়া হয়েছে। যেসব মুসলিম এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন করেনি, মনে রাখবেন তাঁদের কন্ট্রোল করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদি ১৯৯২ সালে মসজিদ না ভাঙা হত, তাহলে আজ সিদ্ধান্ত অন্য রকম হত। এটা আমাদের অধিকারের লড়াই ছিল। আর থাকবে।
চাঁদিপুরঃ ভারত দুই হাজার কিমি পর্যন্ত মারক ক্ষমতা সম্পন্ন অগ্নি – ২ ব্যালাস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষণ করল উড়িষ্যার বালাসোরে abp ananda । রাত্রির বেলায় মারক ক্ষমতা পরীক্ষায় এই মিসাইল সফল হয়েছে। প্রতিরক্ষা সুত্র অনুযায়ী, মাটি থেকে মাটিতে নিশানা ধ্বংস করা এই মিসাইলের সফল পরীক্ষণ উড়িষ্যার চাঁদিপুর রেঞ্জ থেকে করা হয়েছে।
অগ্নি – ২ মিসাইলের সফল পরীক্ষণ গত বছরেই করা হয়েছিল, কিন্তু রাতের অন্ধকারে এই মারক মিসাইলের পরীক্ষণ প্রথমবার হল। এই মিসাইলের মারক ক্ষমতা দুই হাজার কিমি থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার কিমি পর্যন্ত করা যেতে পারে। অগ্নি – ২ মিসাইল নিউক্লিয়ার হাতিয়ার নিয়ে যেতে সম্পূর্ণ ভাবে সক্ষম।
(Balasore, Odisha) Government Sources: India carries out successful night-time test-firing of the 2,000 km strike range Agni-2 ballistic missile. The test-firing was done by the Strategic Forces Command off the coast of Odisha. pic.twitter.com/GfYvO5sifA
ভারত এর আগে এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বদেশী অগ্নি – ১ ব্যালাস্টিক মিসাইলের পরীক্ষণ করেছিল। ভারতীয় সেনা সামরিক সেনা কম্যান্ড বালাসোরের আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে ইন্ট্রিগ্রেড টেস্ট রেঞ্জ লঞ্চ প্যাড ৪ থেকে ৭০০ কিমি দূর পর্যন্ত মারক ক্ষমতা সম্পন্ন অগ্নি – ১ মিসাইলের সফল পরীক্ষণ করেছিল। ২০ মিটার লম্বা অগ্নি – ২ ব্যালাস্টিক মিসাইল এর ওজন ১৭ টনের মতো। আর এই মিসাইল নিজের সাথে এক হাজার কেজির বোমা ২০০০ কিমি পর্যন্ত বহন করতে পারে। অগ্নি – ২ মিসাইলে নিউক্লিয়ার বোমা নিয়ে যেতেও সক্ষম। অগ্নি – ২ মিসাইলকে এর আগেই সেনায় যুক্ত করা হয়েছিল।
নয়া দিল্লীঃ উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) রায়বেরালি এর কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক অদিতি সিং (Aditi Singh) কয়েকদিনের মধ্যে করতে চলেছেন। ebela.in ওনার বিয়ে পাঞ্জাবের কংগ্রেস বিধায়ক অঙ্গদ সৈনির (Angad Saini) সাথে হবে। আগামী ২১ এ নভেম্বর দিল্লীতে শুভ পরিণয়ে আবদ্ধ হবেন অদিতি আর অঙ্গদ। ২৩ তারিখে দিল্লীতেই রিসেপশন রাখা হয়েছে। মিডিয়ার সামনে নিজেই এই কথা জানান কংগ্রেস বিধায়ক অদিতি সিং। পারিবারিক সুত্র থেকে জানা যায় যে, আমন্ত্রণের কার্ডও বিতরণ শেষ হয়ে গেছে প্রায়।
অঙ্গদ আর অদিতি দুজনেই ২০১৭ সালে বিধায়ক হয়েছিলেন। দুজনেই রাজনৈতিক পরিবার থেকে সম্পর্ক রাখেন। অঙ্গদও এই বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন। অঙ্গদ সৈনি ২০১৭ সালে রাজনীতিতে পা রেখেছেন, আর তিনি পাঞ্জাবের ভগত সিং নগর থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছেন। বিধায়ক অঙ্গদ সিং স্বর্গীয় দিলবাগ সিং এর সন্তান। দিলবাগ সিং নবাশহর আসন থেকে ছয়বার বিধায়ক হয়েছিলেন।
অদিতি সিং উত্তর প্রদেশের যুব বিধায়কের মধ্যে একজন। উনি ২০১৭ সালে ৯০ হাজারের বেশি ভোটে রায়বেরেলি এর সদর আসন থেকে জয়লাভ করেছিলেন। ওনার পিতা অখিলেশ কুমার সিং পাঁচবার রায়বেরালি আসন থেকে নির্বাচনে জিতেছেন।
কংগ্রেসের বাহুবলি নেতা অখিলেশ সিং এর কন্যা হলেন অদিতি সিং। কিছুদিন আগেই উনি শিরোনামে এসেছিলেন, যখন চারিদিকে খবর ছড়িয়েছিল যে, রাহুল গান্ধীর সাথে অদিতির বিয়ে হবে। যদিও ওটা গুজব ছিল। আর এই খবর ছড়িয়ে যাওয়ার পর অদিতি সিং নিজেই খবরের সত্যতা প্রকাশ করেন, আর রাহুল গান্ধীকে নিজের ভাই বলেন। অদিতি বলেছিলেন, রাহুল আমার ভাইয়ের মতো।
লখনউঃ অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পুনর্বিচার আবেদন দাখিল করা নিয়ে মুসলিম পক্ষের বৈঠক হচ্ছে। ebela মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (AIMPLB) এই বৈঠক সম্পন্ন হলেই, অযোধ্যা মামলায় পুনর্বিচারের আবেদন দাখিল হবে কি না, সেটা নিয়ে ঘোষণা হবে। যদিও AIMPLB এখন পুনর্বিচারের আবেদন দাখিল করা নিয়ে দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। AIMPLB কিছু সদস্য চাইছে যে, এই মামলা আবারও আদালতে তোলা হোক। আবার কিছু সদস্য চাইছে যে, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলা উচিত।
এর আগে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের বৈঠকের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছিল। এই বৈঠক প্রথমে নদবা কলেজে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সদস্যেরা একে একে জড় হওয়ার পর আচমকাই AIMPLB মিটিং এর জায়গা বদলে দেয়। এখন বৈঠক নদবা কলেজে না হয়ে, মুমতাজ পিজি কলেজে হচ্ছে। এই বৈঠক নিয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের একমাত্র মুসলিম মন্ত্রী মোহসিন রাজা প্রশ্ন তুলেছেন।
শোনা যাচ্ছে যে, মন্দির মামলায় উদার মনোভাব রাখা নাদবা কলেজের প্রোফেসর সালমান নদবির কারণেই AIMPLB বৈঠকের স্থান পালটে দেয়। নদবি সমেত অনেক কয়েকজন মুসলিম বুদ্ধিজীবী AIMPLB এর সদস্য, তাঁরা এই মামলা আবার আদালতে না নিয়ে যাওয়ার পক্ষে। এই বুদ্ধিজীবীদের অনুযায়ী, অনেকদিন আগেই মুসলিমদের ওই জমি হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া উচিত ছিল।
শোনা যাচ্ছে যে, যদি নাদবা কলেজে এই বৈঠক হত, তাহলে প্রফেশর সালমান নদবির সমর্থকেরা হাঙ্গামা করতে পারত। আর এই কারণে বৈঠক সরিয়ে নিয়ে মুমতাজ কলেজে রাখা হয়েছে। সাংসদ ওয়াইসি এই মামলায় কট্টর মনোভাব আপন করে নিয়েছেন। আরেকদিকে প্রফেসর সালমান নদবি সমেত অনেক কয়েকজন সদস্য উদার মনোভাব দেখাচ্ছেন।
তাঁরা এই মামলায় আগামী দিনে কোন পদক্ষেপ নিতে চাইছে না। তাঁরা চাইছে যে, সুপ্রিম কোর্ট যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটাকেই স্বীকার করে এগিয়ে যাওয়া হোক। মুমুতাজ কলেজ মুসলিম পক্ষের আইনিজিবি জফরইয়াব জিলানির। উনি সিদ্ধান্তের দিনই বলে দিয়েছিলেন যে, আমরা এই মামলায় সন্তুষ্ট না, আর পুনর্বিচারের আবেদন দাখিল করতে ইচ্ছুক।